রমজান হোক তওবার সুযোগ শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। এ মাসের প্রতিটি ইবাদত যেন অবহেলায় বিফলে ব্যর্থ না হয় সেজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে রমজানের এ মধ্যবর্তী সময়েও। সারা বছরের সব ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে আল্লাহ পাকের কাছ থেকে মার্জনা ও ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার এমন বিরল সুযোগ আগামীবার জুটবে কি না, নিশ্চয়তা নেই। মাহে রমজানের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযানের আগ থেকেই তাঁর দোয়ায় আল্লাহ পাকের কাছে ফরিয়াদ জানাতেন, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দাও। মুআল্লা ইবনুল ফযল (র.) বলেছেন, আমাদের পূর্বসুরী বুযুর্গরা রমজানের আগে বছরের ছয় মাস শুধু এ দোয়ায় করতেন যেন আল্লাহ পাক তাদের রমজান মাস পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখেন। আর রমজানের পর বাকি ছয় মাস তারা দোয়া করতেন, আল্লাহ পাক যেন অতীত হওয়া রমজান মাসে কৃত সব নেকআমলগুলো কবুল করে নেন। তবে এ রমজানকে সত্যিই সাফল্যময় অর্থে কাজে লাগাতে চাইলে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। এসবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে-তওবা। তওবা শব্দের অর্থ-ফিরে আসা। সারা বছর এবং জীবনভর স্বেচ্ছায় কিংবা অ...
Posts
Showing posts from July, 2013
- Get link
- X
- Other Apps
পবিত্র হজ ২০১৩ পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ বলেন, ‘‘মানুষের মধ্যে যে ব্যক্তি ঈমানদার, কা’বাঘর পৌঁছাতে সক্ষম হয়; তার ওপর আল্লাহর অধিকার হচ্ছে সে যেন হজ করে। [আল কুরআন: সুরা আল-ইমরান: আয়াত ৯৬] ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তির একটি হলো হজ। ইসলামের পাঁচটি ভিত্তি হলো ঈমান, নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজ। এর মধ্যে হজ একমাত্র ইবাদত, যা একই সঙ্গে শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত। যেমন, জাকাত হলো একটি আর্থিক ইবাদত। যার নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা থাকে, তার জন্য কেবল জাকাত ফরজ হয়। আবার, রোজা হলো শারিরীক ইবাদত, যার শারিরীক সামর্থ্য আছে, তার জন্য রোজা ফরজ। কিন্তু, হজ ফরজ হওয়ার প্রথম শর্ত হলো আর্থিক সামর্থ্য থাকতে হবে; এরপরে পথে কোনো বাধা নেই, এমন অবস্থা থাকতে হবে; এবং সেই সঙ্গে হজের নিয়ম কানুন পালন করে আসার মতো শারীরিক সামর্থ্য থাকতে হবে। হজ বিশ্ব মুসলিমকে একাত্ম করে দেয়। বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ও বিশ্ব শান্তির স্বাদ জাগিয়ে দেয় হজ। হজ হলো মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে সৌভাগ্যের মিলনমেলা। হাজিরা হলেন মহান আল্লাহর ঘর বায়তুল্লাহ’র মেহমান। এ কারণে হাজিরা প্রতিটি মানুষ, ফেরেস্তা ও সৃষ্টিকূলের কাছে ...
- Get link
- X
- Other Apps

রোজাদারের ভুলে পানাহার , স্ত্রী সহবাস সহ ১০ মাসআলা মাওলানা শোয়াইব ইজহার লেখক : ইমাম ও খতিব হাতিরঝিল জামে মসজিদ , ঢাকা ০১ . রোজাদার ব্যক্তি ভুলে এক বা একাধিকবার পানাহার করলে অথবা স্ত্রী সহবাস করলে তাঁর রোজা নষ্ট হবে না। ( সূত্র : বেহেশতি জেওর , খণ্ড ৩ , পৃষ্ঠা ১৪ , কুদুরি , পৃষ্ঠা ৪৫ ) । ০২ . রোজা রেখে চোখে সুরমা ব্যবহার করা , শরীরে তেল মাখা অথবা আতর ইত্যাদির সুঘ্রাণ নেওয়া বৈধ। ( সূত্র : বেহেশতি জেওর , খণ্ড ৩ , পৃষ্ঠা ১০ ) । ০৩ . রাতে গোসল ফরজ হলে সুবহে সাদিকের আগেই গোসল করে নেওয়া উচিত। এর পরও কেউ গোসল না করলে এমনকি সারা দিনও যদি গোসল না রাখে , তাতে রোজা নষ্ট হবে না। ফরজ গোসলে দেরি করার জন্য পৃথক গোনাহ হবে। ( সূত্র : ইলমুল ফিকাহ , খণ্ড ৩ , পৃষ্ঠা ৩১ ) । ০৪ . এমনিতেই যদি হঠাৎ করে গলার ভেতরে মশা - মাছি , ধোঁয়া বা ধুলোবালি চলে যায় , তাতে রোজা নষ্ট হবে না। ইচ্ছাকৃতভাবে এমন করলে রোজা ভেঙে যাবে। ( সূত্র : ফাতাওয়া আলমগিরি , খণ্ড ১ , পৃষ্ঠা ২৯৮ ) । ০৫...
- Get link
- X
- Other Apps
পানি পান করার মতো নিত্যদিনের কাজকেও আপনি কয়েকটি খুব সহজ আদব ও সুন্নাহ অনুসরণের মাধ্যমে সওয়াব লাভের উপায় করে নিতে পারেন। এই আদবগুলোর কিছু এখানে দেওয়া হল - ১ / বসে পানি পান করা মুস্তাহাব। ২ / ডান হাত দ্বারা পানি পানকরা সুন্নত ৩ / পাত্রে যে স্থানে ফাটা রয়েছে ঐখানে মুখ না রাখা। ৪ / তিন শ্বাসে পানি পান করাউত্তম , প্রত্যেকবার পাত্র থেকে মুখ পৃথককরা। ৫ / পাত্রের ভীতরে শ্বাস অথবা ফুঁকদিবেনা। ৬ / পান করা র শুরুতে ﻪﻠﻟﺁ ﻢﺴﺑ ( বিসমিল্লাহ ) বলা আর শেষে ﻪﻠﻟ ﺪﻤﺤﻟﺁ ( আলহামদুলিল্লাহ ) বলা সুন্নত। ৭ / পানি পান করার শেষে এই দোয়া পড়া - " সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা ’ য়ার জন্য , যিনি পানিকে মিষ্টি করেছেন। আমাদের গুনাহের কারনে তিক্ত করেননি। " ৮ / দুধ , চা , এজাতীয় তরল জিনিস পান করার সময় এই দোয়া পড়া - " হে আল্লাহ আমাদের , এই খাবারের মধ্যে বরকত দিন। এবং উহা বৃদ্ধি করে দিন। " ৯ / জমজমের পানি কেবলার দিকে মুখ করে দাড়িয়ে পান করা সুন্নত। ১০ /...