রোজা মানে শুধু ক্ষুধা-তৃষ্ণার কষ্ট নয় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাওয়া ও পান করা থেকে বিরত থাকা, পরিভাষায় যাকে আমরা বলি- রোজা বা সিয়াম পালন- এটাই রমজানের প্রধান আকর্ষণ। এ মাসটির এমন মহিমান্বিত সম্মানের এটাই প্রথম কারণ। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রোজার মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, আদম সন্তানের প্রতিটি আমলের বিনিময়ে দশগুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আল্লাহ পাক বলেন, রোজার বিষয়টি ভিন্ন। রোজা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেবো। বান্দা আমার জন্যই তার লালসা-প্রবৃত্তি, তার পানাহার ত্যাগ করেছে। এক রোজাদার বান্দার জন্য দু’টি খুশির উৎসব। একটি তার ইফতারের সময়ের খুশি এবং আরেকটি তার মহান রবের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ের আনন্দ। রোজাদার মানুষের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহ পাকের কাছে মিশক আম্বরের সুঘ্রাণের চেয়েও বেশি খুশবুময়। (বুখারী, মুসলিম) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, যে মুসলমান ঈমান এবং ধৈর্যের সঙ্গে পূণ্য কামনায় রমজান মাসজুড়ে রোজা রেখেছে, তার অতীত জীবনে কৃত সব গোনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (...
Popular posts from this blog
পানি পান করার মতো নিত্যদিনের কাজকেও আপনি কয়েকটি খুব সহজ আদব ও সুন্নাহ অনুসরণের মাধ্যমে সওয়াব লাভের উপায় করে নিতে পারেন। এই আদবগুলোর কিছু এখানে দেওয়া হল - ১ / বসে পানি পান করা মুস্তাহাব। ২ / ডান হাত দ্বারা পানি পানকরা সুন্নত ৩ / পাত্রে যে স্থানে ফাটা রয়েছে ঐখানে মুখ না রাখা। ৪ / তিন শ্বাসে পানি পান করাউত্তম , প্রত্যেকবার পাত্র থেকে মুখ পৃথককরা। ৫ / পাত্রের ভীতরে শ্বাস অথবা ফুঁকদিবেনা। ৬ / পান করা র শুরুতে ﻪﻠﻟﺁ ﻢﺴﺑ ( বিসমিল্লাহ ) বলা আর শেষে ﻪﻠﻟ ﺪﻤﺤﻟﺁ ( আলহামদুলিল্লাহ ) বলা সুন্নত। ৭ / পানি পান করার শেষে এই দোয়া পড়া - " সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা ’ য়ার জন্য , যিনি পানিকে মিষ্টি করেছেন। আমাদের গুনাহের কারনে তিক্ত করেননি। " ৮ / দুধ , চা , এজাতীয় তরল জিনিস পান করার সময় এই দোয়া পড়া - " হে আল্লাহ আমাদের , এই খাবারের মধ্যে বরকত দিন। এবং উহা বৃদ্ধি করে দিন। " ৯ / জমজমের পানি কেবলার দিকে মুখ করে দাড়িয়ে পান করা সুন্নত। ১০ /...
Comments
Post a Comment